
সম্প্রতি একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির হন হালের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েও না বলে রেগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তিনি। এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। যা নিয়ে কদিন ধরেই চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন অগ্নিকন্যা’খ্যাত এই চিত্রনায়িক। তিনি বলেন, সেখানে শুধু সাংবাদিকই নয়, অনেক ইউটিউবার ছিলেন। সবাই আমার ইন্টারভিউ নিতে ঘিরে ধরেছিল। কেউই স্থির থাকতে পারছিল না। চিৎকার-চেঁচামেচি, হইহুল্লোড় চলছিল। একবার পেছন থেকে কেউ মাইক্রোফোন এগিয়ে দিচ্ছে, আবার কেউ অন্য পাশ থেকে। খুব বাজে একটা পরিস্থিত তৈরি হয়েছিল সেদিন। কেউ আবার গায়ের ওপর এসেও পড়ছিল। সেখানে দাঁড়ানোর মতোই পরিস্থিতি ছিল না, কথা বলা তো দূরের কথা। তাই বাধ্য হয়েই ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে হয়েছে আমাকে।
মাহি আরও বলেন, এটা নিয়ে মানুষজন যেভাবে আলোচনা-সমালোচনা করছে, আসলে বিষয়টা কিন্তু তা না।
এদিকে স্বামী রকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা মাহিয়া মাহি। বর্তমানে তারা আলাদাই থাকছেন। আর শিগগিরই তারা বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন করছেন বলে জানান মাহি।
বিচ্ছেদের ঘোষণার পরেও মাহি বলেছেন, স্বামী রকিবের প্রতি তার পূর্ণ সম্মান রয়েছে। এমনকি মাথায় পিস্তল ধরলেও রকিবকে নিয়ে কখনও খারাপ কিছু বলতে পারবেন না তিনি। অন্যদিকে রকিবও বলেছেন, স্ত্রী হিসেবে মাহির সম্মান রয়েছে তার কাছে। নিজের স্ত্রীকে কখনও হেয় করে কিছু বলতে পারবেন না তিনি।
বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রকিব সরকার বলেন, গত বছরের জুন মাস থেকে আমরা আলাদা থাকতে শুরু করেছি। আমি ও মাহি উত্তরার বাসায় আলাদা থাকতাম।
কেন আলাদা থাকতেন সেটাও জানিয়েছেন অভিনেত্রীর স্বামী বলেন, আমার মোবাইলে আসা আমারই পরিবারেরই একজনের একটি এসএমএসকে কেন্দ্র করে মাহির মন খারাপ হয়। এরপর সে আমার বাসা থেকে তার মায়ের বাসায় চলে যায়।’
রকিব সরকার আরও বলেন, মাহি বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাকে একাধিকবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। একপর্যায়ে আমি নিজেই মাহির সঙ্গে তার মায়ের বাসায় উঠি। দুই পরিবারের সদস্যরা মিলেও মাহিকে বোঝাতে পারেনি। একবার বুঝে তো পরেরবারই উল্টে যায়। এভাবেই আমাদের আলাদা থাকার দিনগুলো পার হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত বোঝাতে ব্যর্থ হয়ে বিচ্ছেদের পথে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। এর কয়েক বছর পরেই ২০২০ সালে মে মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানান তিনি। পরে ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি।