
দেশজুড়ে: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় এক রাতে ১০টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির পর চিরকুটে একটি মুঠোফোন নম্বর রেখে যায় চোর চক্র।
বুধবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের ৩টি গ্রামে এ চুরির ঘটনা ঘটে। মিটারের গ্রাহকরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে তাদের কাছে প্রতিটি মিটারের দাম ১৪ হাজার টাকা দাবি করা হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বন্তইর গ্রামের গভীর নলকূপের মালিক রফিক ও শাহজাহান আলী জানান, একরাতেই উপজেলার বন্তইর, হাউসপুর ও বরিয়াবার্তা গ্রামে গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়। চোর চক্র মিটারগুলো চুরির পর চিরকুটে একটি নম্বর রেখে যায়। সেই চিরকুটে আবার ছোট করে ‘মিটার চোর’ শব্দটিও উল্লেখ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মিটারের গ্রাহকরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে তাদের কাছে প্রতিটি মিটারের দাম ১৪ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এ টাকা ওই নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এদিকে সকালে এসব চুরি যাওয়া মিটারগুলোর মধ্যে বন্তইর গ্রামের একটি ফসলি মাঠের জমিতে খড়ের স্তূপের মধ্যে ওই গ্রামের বেলাল নামের এক ব্যক্তির বৈদ্যুতিক মিটার পাওয়া যায়। অন্যগুলো না পাওয়ায় ভুক্তভোগী গ্রাহকরা নিরুপায় হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আদমদীঘি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, মিটার চুরির ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে চোর শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।