
জাতীয়: ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি ২৩ নাবিককে শারীরিকভাবে নির্যাতন না চালালেও জাহাজে থাকা তাদের সীমিত খাবারে ভাগ বসাচ্ছে দস্যুরা।
ফলে দ্রুতই খাবার ফুরিয়ে আসার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া অস্ত্রের মুখে দস্যুদের সব কথা মেনে চলতে হচ্ছে বাংলাদেশি ২৩ নাবিককে, যে কারণে মানসিক একটা চাপ ও ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে কাটছে তাদের।
সম্প্রতি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের চিফ অফিসার আতিক উল্লাহ খান পরিবারের সদস্যদের কাছে একটি অডিও বার্তা পাঠান।
তিনি জানান, জিম্মি হওয়ার দিন তাদের কাছে ২০-২৫ দিনের খাবার মজুত ছিল। পানি ছিল ২০০ টনের মতো। প্রতি বেলায় এখন ৩০ জলদস্যু নাবিকদের সঙ্গে খাবার খাচ্ছে। এ কারণে দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে খাবার ও পানি।
অডিও বার্তায় আতিক উল্লাহ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এখনও খাবার আছে। কিন্তু জলদস্যুরাও আমাদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছে, আমাদের পানি ব্যবহার করছে। তাই এই খাবার আর কতদিন যাবে সেটা বলতে পারছি না। আর হয়তো ১০-১৫ দিন যেতে পারে। এরপর খাবার ও পানি শেষ হয়ে গেলে খুব কষ্টে পড়ে যাব।’
উল্লেখ্য, ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ।