প্রচ্ছদ হেড লাইন রোজা রেখে টুথপেস্ট দিয়ে ব্রাশ করা যাবে কি?

রোজা রেখে টুথপেস্ট দিয়ে ব্রাশ করা যাবে কি?

পবিত্র রমজান মাস চলছে। এ সময় রোজা রাখতে গিয়ে অনেক বিষয় খেয়াল রাখতে হয় যাতে রোজা না ভেঙে যায়। কারণ অনেক ছোট ছোট বিষয় আছে যা রোজা ভঙ্গের কারণ হতে পারে। আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠেই টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে থাকি। পবিত্র রমজানের সকালেও অনেকেই টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করেন। এটাতে সন্দেহ হতে পারে টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভেঙে যায় না তো?

অনেক বলেছেন টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভাঙে না। কারণ, টুথপেস্ট তো আমরা খাই না। তবে ব্রাশ করার সময় সতর্ক থাকতে হবে, পেস্ট পেটে চলে না যায়। কোনো কোনো ফকিহ আবার বলেন, টুথপেস্ট দিয়ে ব্রাশ করলে রোজা মকরুহ হয়ে যায়। ভেঙে যাওয়ার কথা কেউ বলেননি। রমজান মাসে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে যা নিষেধ, তা না করার চেষ্টা করতে হবে। যেন তিনি খুশি হন। মাকরুহ হলেও আমাদের রমজান মাসে রোজা রেখে টুথপেস্ট বা দাঁতের মাজন দিয়ে দাঁত না মাজার চর্চা করতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয়, সাহরি খাওয়ার পর পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা, ইফতারের পর দাঁত ব্রাশ করা। আর দিনের বেলা মিসওয়াকও ব্যবহার করা।

তবে রমজান মাসে অনেকেই রোজা রেখে দাঁত ব্রাশ করেন না, মিসওয়াকও করেন না। এটা মোটেই ঠিক নয়। সারা দিন প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে মিসওয়াক ব্যবহার করা যায়। রাসুল (সা.) মিসওয়াক ব্যবহার করতেন। তাই মিসওয়াক করা সুন্নত। হাদিসে আছে, মিসওয়াক করে নামাজ পড়লে তা উত্তম।

সুনানে আবু দাউদে যায়েদ বিন খালেদ আলজুহানী (রা.) বরাতে এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি—আমার উম্মতের জন্য কষ্টের আশঙ্কা না হলে তাদের ওপর মিসওয়াককে প্রতি নামাজের জন্য ফরজ করে দিতাম।’ রোজা রেখে কুলি করা, নাকে পানি দিয়ে পরিষ্কার করা, পরিচ্ছন্ন হওয়ার জন্য গোসল করা, মিসওয়াক করা—এসবে সমস্যা নেই।