
জাতীয়: ফাইরুজ অবন্তিকা ইস্যু নিয়ে আন্দোলনের মধ্যেই এবার দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আরেক শিক্ষার্থী ফারজানা মিম। গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে নিজের নিরাপত্তার দাবি জানান তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়।
বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে হাজির হয়ে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন দুই শিক্ষক। একই সঙ্গে যৌন হয়রানির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তারা।
অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলেন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন ও বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিম।
মীম বলেন, ‘আমার বিভাগের শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন আমাকে যৌন হেনস্তা করেছেন। এই অভিযোগ দেয়ার পর থেকে বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিমসহ দুজন আমাকে সেটি তুলে নিতে নানাভাবে চাপ দিতে থাকেন। আমাকে একঘরে করে দেয়া হয়। পরীক্ষায় অংশ নিলেও অ্যাটেন্ডেন্স শিটে আমার নাম রাখা হয়নি। বিভিন্ন পরীক্ষায় শূন্য নম্বর দিয়ে ফেল করানো হয়। অনার্সের ভাইভায় আমাকে ফেল করানো হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছি না। কখন আমাকে মেরে ফেলা হয় সেটা জানি না। শুধু আমি না, তারা আমার পরিবারকেও নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে এবং হেনস্তা করছে। বর্তমান এ অবস্থা থেকে বাঁচতে ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছি।’
অভিযুক্ত শিক্ষক জুনায়েদ আহমেদ হালিম বলেন, ‘যৌন হয়রানির সত্যতা নিয়ে আদালতই জানাবেন। মিম ওই কোর্সে কোনো পরীক্ষা এবং অ্যাসাইনমেন্টে যোগ দেয়নি। ফলে শূন্য পেয়েছে। আর ভাইভায় সে ২৩.৫ নম্বর পেয়েছিল। এমন খারাপ ফল আরও অনেকেই পেয়েছে।’
আর মিথ্যা অভিযোগে মিম এক দফা আন্দোলন করছে বলে দাবি করেন আরেক অভিযুক্ত আবু সাহেদ ইমন। ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, ‘স্বাধীনভাবে ক্যাম্পাসে চলাফেরা করার বিষয়ে নিরাপত্তা চেয়েছে মিম। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা। পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থার জন্য ভিসিকে জানানো হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভুক্তভোগীর সব ধরনের নিরাপত্তা দেয়া হবে। আর যৌন হয়রানির বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’