ধারালো বঁটি দিয়ে প্রেমিকার গলা কেটে হত্যার সাত দিন পর গতকাল শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মিরাজ রহমান (১৯) থানায় গিয়ে বলেন, ‘স্যার, আমি একটা অন্যায় করে ফেলেছি। আমার প্রেমিকাকে আমি মেরে ফেলেছি।’ ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মনিপুর বাজার এলাকায় ২৪ ডিসেম্বর। পরে পুলিশ মিরাজকে আটক করে এবং তাঁর দেওয়া তথ্যমতে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। নিহত মারিয়া আক্তার ওরফে ঝর্ণা (১৯) গাজীপুর সদর উপজেলার বিকেবাড়ী তালতলী এলাকার মুকুল হোসেনের মেয়ে। আটক মিরাজ মির্জাপুর ইউনিয়নের মনিপুর বাজার এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, মিরাজ রহমান স্থানীয় একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। মারিয়া আক্তারও তাঁর সঙ্গে একই ক্লাসে লেখাপড়া করতেন। সেখান থেকে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু নানা বিষয় নিয়ে মারিয়ার প্রতি সন্দেহ দেখা দেয় মিরাজের। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝি এবং ঝগড়াবিবাদ হয়। এরই জের ধরে পরিকল্পিতভাবে ২৪ ডিসেম্বর মারিয়াকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান মিরাজ। এরপর বঁটি দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেন তাঁকে। লাশ গোসলখানায় নিয়ে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখেন। শনিবার রাতে মারিয়ার লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, মারিয়া আক্তারকে ধারালো বঁটি দিয়ে গলা কেটে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে বাথরুমে নিয়ে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখেন মিরাজ। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |