অনেকই আছেন সুতির পোশাক ছাড়া অন্যকিছু পরতে পারেন না। এ ছাড়া ঢিলেঢালা, হালকা আরামদায়ক সুতির পোশাক ত্বক ভালো রাখে। শারীরিক অস্বস্তিও কম হয়। তবে সুতির জামাকাপড়ের কিন্তু যথাযথ যত্নের প্রয়োজন। না হলে পোশাক রঙ ওঠে এবং রুক্ষ হয়ে যায়। কীভাবে নেবেন সুতির পোশাকের যত্ন জেনে নিন
সুতির পোশাক কখনোই গরম পানিতে ধোয়া উচিত না। বিশেষ করে দীর্ঘসময় গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখা যাবে না। এতে রঙ চটে যেতে পারে। ঠান্ডা পানি দিয়েই সুতির পোশাক ধুয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া লিকুইড সাবানে সুতির পোশাক কাচতে পারলে সবচেয়ে ভালো। সুতির কাপড় ধোয়ার সময় পোশাক উল্টো করে নিতে হবে। সুতির পোশাক সব সময় উল্টো করে সাবান পানিতে ধোয়া ভালো। এতে দীর্ঘদিন টিকে থাকবে জামাকাপড়ের রঙ।
লবণ পানির ব্যবহার সুতির পোশাক প্রথমবার ধোয়ার সময় তা থেকে অনেকটা রঙ বেরিয়ে যায়। তাই প্রথমবার কাপড় ধোয়ার আগে লবণ পানিতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখলে যদি রঙ ওঠার হয় তাহলে খুব সহজেই আলগা রঙটা উঠে যাবে। তারপর সাবান পানিতে কাচুন। এতে কাপড়ের রঙ টিকে থাকবে। ওয়াশিং মেশিনে সুতির কাপড় কাচলে, সাবানের সঙ্গে এক কাপ ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এতে কাপড়ের রঙ চটবে না, আর পোশাকের উজ্জ্বলতাও বজায় থাকবে।
তবে সুতির জামাকাপড় মেশিনে ধোয়ার চেয়ে, ঠান্ডা পানিতে হাত দিয়ে ধোয়াই সবচেয়ে ভালো। মেশিনে শুকাবেন না, মেশিন ড্রায়ারগুলো সুতির জামাকাপড় আরও রুক্ষ করে তুলতে পারে এবং রঙ চটাতে পারে। তাই প্রাকৃতিক হাওয়ায় পোশাক শুকানো সবচেয়ে ভালো। এতে দীর্ঘদিন কাপড়ের উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে। ছায়ায় পোশাক শুকাতে দিন। সুতির জামাকাপড় চড়া রোদে শুকাতে না দেওয়াই ভালো। এতে পোশাকের রঙ ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে। তাই ছায়া আছে এমন জায়গায় কাপড় মেলে দিন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |