প্রচ্ছদ আন্তর্জাতিক নাবিকদের মুক্তির সঙ্গে ক্যাপ্টেনকে দেওয়া চিঠিতে যা জানিয়েছিল দস্যুরা

নাবিকদের মুক্তির সঙ্গে ক্যাপ্টেনকে দেওয়া চিঠিতে যা জানিয়েছিল দস্যুরা

জাতীয়: মুক্তিপণ পাওয়ার পরই জলদস্যুরা জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ২৩ নাবিকসহ মুক্তি দিয়েছে। মুক্তিপণের অর্থ বুঝে পেয়ে ৯টি ছোট নৌকায় করে জাহাজটি ছেড়ে যায় ৬৫ জন জলদস্যু। তবে, নাবিকরা সুস্থ আছেন। আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে জাহাজটির মালিকপক্ষ শিল্পগ্রুপ কেএসআরএমের প্রধান কার্যলয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘শনিবার (১৩ এপ্রিল) সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ থেকে একে একে নেমে গেছে দস্যুরা। তখন জাহাজটির ৬৫ জন দস্যু নেমে বোট নিয়ে চলে যায়। যাওয়ার আগে দস্যুদের প্রধান জাহাজের ক্যাপ্টেনকে একটি চিঠি ধরিয়ে দেয়। সোমালিয়ান ভাষায় তাতে লেখা, ‘আপনারা এখন নিরাপদ। দুবাই পর্যন্ত আপনারা নিরাপদে গন্তব্যে যেতে পারবেন। নতুন করে আর দস্যুদের কবলে পড়তে হবে না। পড়লেও এ চিঠি দেখালে তারা ছেড়ে দেবে।’

এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী বলেন, গত ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি জিম্মি করার নয় দিনের মাথায় ২০ মার্চ দুপুরে দস্যুরা যোগাযোগ করে জাহাজ মালিকের সঙ্গে। দস্যুদের পক্ষে ইংরেজি জানা এক ব্যক্তি এ যোগাযোগ করে। এরপর তাদের (দস্যু) সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ চলতে থাকে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দস্যুদের সঙ্গে আমাদের চূড়ান্ত সমঝোতা বা চুক্তি হয়। চুক্তিতে তৃতীয় কোনও পক্ষ ছিলেন না। আমাদের সঙ্গে সরাসরি সমঝোতা হয়েছে। দস্যুদের মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে। তবে, কী পরিমাণ অর্থ এবং কীভাবে দেওয়া হয় তা জানানো সম্ভব নয়। কারন জাহাজসহ নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন দেশের আইন মানা হয়েছে। যা হয়েছে সবই আইন মেনে করা হয়েছে।