আইপিএলে সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি মুস্তাফিজুর রহমানও বেশ জনপ্রিয়। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটিতে ২০১৬ সাল থেকে নিয়মিত খেলছেন তিনি। লিগের বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সি গায়ে মাঠ মাতিয়েছেন এই তারকা পেসার। এবার বল হাতে জাদু দেখাচ্ছেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। যেখানে সর্বক্ষণ তাকে পরামর্শ দিচ্ছেন মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
আইপিএলের ১৭তম আসরের নিলাম থেকে মুস্তাফিজকে দলে ভেড়ায় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই। যেখানে তার খেলার স্বপ্ন ছিল আইপিএল ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) চেন্নাই তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে মুস্তাফিজের একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করে। যেখানে উঠে আসে মুস্তাফিজের চেন্নাইয়ের পথচলাসহ নানা বিষয়।
মুস্তাফিজ জানান স্বপ্নের দল চেন্নাইয়ে ডাক পেয়ে ঘুমাতেই পারেননি তিনি। ফিজের মতে, আইপিএলে খেললে একজন ক্রিকেটার অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস পায়, তবে জাতীয় দলের হয়ে খেলতেই তিনি বেশি অনুপ্রাণিত হন।
মুস্তাফিজ তার সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এটা চেন্নাইয়ের হয়ে আমার প্রথমবার খেলতে আসা। ২০১৬ সালে আইপিএলে আমার অভিষেক হয়, তবে সবসময় স্বপ্ন ছিল এই ফ্র্যাঞ্চাইজির (চেন্নাই) হয়ে খেলা। যখন চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্টের কল আসে, এরপর থেকে সারারাত আর ঘুম আসতেছিল না। একরকম উত্তেজনা কাজ করছিল। কিন্তু পরদিন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ছিল, তাই ঘণ্টাখানেকের মতো ঘুমাই, এরপর থেকে শুধু মেসেজ আসতেছিল। রাত দেড়টার মতো বাজে তখন, সবাই আমাকে অভিনন্দন জানাতে থাকে।’
চেন্নাইয়ের প্রাণভোমরা ধোনি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা ব্রাভোসহ সতীর্থদের প্রসঙ্গে মুস্তাফিজ বলেন, ‘এখানকার সবাই খুব আন্তরিক, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের। জাতীয় দলে যেমন সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, তেমনি এখানেও শুরু থেকে আমার অস্বস্তি লাগেনি। এখানে বড় ভূমিকা ছিল মাহি (মহেন্দ্র সিং ধোনি) ভাইয়ের, ডিজে ব্রাভো (চেন্নাইয়ের বোলিং কোচ) এবং অন্যান্য কোচিং স্টাফের। ডেথ ওভারে ফিল্ডিং সেট-আপ থেকে শুরু করে ছোট ছোট কিছু বিষয় জানায়, সেগুলো আমার ডেথ ওভারের বোলিংয়ে খুব ভালো কাজে লাগে।’
ফিজ আরও বলেন, ‘উনার (ধোনি) সঙ্গে বেশিরভাগ বোলিং নিয়েই কথা হয়, তবে যা হয় মাঠেই। এর বাইরে তেমন কথা হয় না। মাহি ভাই এসেই বলেন যে এটা (কৌশল) করলে ভালো হয়। আইপিএলে খেললে একজন ক্রিকেটার অনেক আত্মবিশ্বাস পায়, পুরো টুর্নামেন্টে আন্তর্জাতিক সব তারকা ক্রিকেটাররা থাকে। এখানে যদি আমি সফল হই, যেকোনো জায়গায় সফল হওয়াটা সহজ হয়।’
জাতীয় দলের হয়ে খেলা ফিজের কাছে বাড়তি মর্যাদার, একইসঙ্গে ডেথ ওভারে বোলিংয়ের কৌশল নির্ধারণ নিয়েও কথা বলেন এই কাটার মাস্টার, ‘যখন আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলি তখন বাড়তি প্রেরণা কাজ করে। আর বিশেষ করে যখন ভারত, পাকিস্তানসহ অন্য বড় দলের সঙ্গে খেলি, যেখানে হাইলাইটস হয় বেশি, সবমিলিয়ে বড় দলের সঙ্গে খেলতে সবসময় ভালো লাগে। এসব ম্যাচে দর্শক থাকে অনেক বেশি। খেলা দেখি কম, তবে খেলতে পছন্দ করি। তবে টি-টোয়েন্টির শেষ ৪-৫ ওভার দেখা হয়, দেখি ব্যাটসম্যানরা কীভাবে খেলে এবং ওই পরিস্থিতিতে আমার কী করা উচিৎ।’
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |