প্রচ্ছদ জাতীয় তীব্র দাবদাহের মধ্যেই হঠাৎ শীতের ঘন কুয়াশা!

তীব্র দাবদাহের মধ্যেই হঠাৎ শীতের ঘন কুয়াশা!

জাতীয়: তীব্র দাবদাহে ওষ্ঠাগত প্রাণ। গ্রীষ্মের খরতাপে যখন পুড়ছে দেশ, ঠিক তখনই নাটোরের বাগাতিপাড়ায় দেখা মিলল শীতের কুয়াশায় ঘেরা ভোর।

শুক্রবার ভোরের আলো ফোটার পরিবর্তে বড়াল নদীবেষ্টিত উপজেলার বিভিন্ন এলাকা হঠাৎ ঢেকে যায় ঘন কুয়াশায়। প্রকৃতির অবস্থা দেখে বুঝার উপায় ছিল না এটি শীতকাল নাকি উত্তপ্ত গ্রীষ্মকাল। তবে ঘণ্টা দেড়েক পর সূর্যের তাপের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে কুয়াশার চাদর সরিয়ে স্বাভাবিক রূপে ফিরে আসে প্রকৃতি।

প্রকৃতির এমন অস্বাভাবিক রূপে জনমনে ছড়িয়েছে নানা প্রশ্ন। বৈচিত্র্যপূর্ণ আবহাওয়া কি তার স্বাভাবিকতা হারিয়ে মানবকুলের অজানা কোনো কারণে প্রতিশোধ নিচ্ছে। নাকি প্রকৃতি তার স্বাভাবিকতা হারিয়ে এমন অস্বাভাবিক আচরণ করছে।

স্থানীয়রা জানান, ভোরের আলো ছড়াতেই হঠাৎ করে যেন ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেল এলাকা। শীতকালের মতো ঘন কুয়াশায় এতটাই ঢেকে ছিল যে, সামান্য দূরের কাউকেও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল না। উপজেলার তমালতলা, জামনগর, বিহারকোলসহ পুরো উপজেলায় এ কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সূর্যের উত্তপ্ত আলো বের হয়। তবে কুয়াশার এমন চিত্র অনেকে তাদের নিজের মোবাইল ফোনেও ধারণ করেন।

চকতকিনগর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বছির উদ্দিন জানান, মসজিদ থেকে ফজরের নামাজ পড়ে বের হয়ে দেখেন ঘন কুয়াশা। তার জীবদ্দশায় গ্রীষ্মের এমন খরতাপের মধ্যে শীতকালের কুয়াশা তিনি দেখেননি। প্রকৃতি তার স্বাভাবিকতা হারানোর কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তমালতলা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাজনীন সুলতানা জানান, ভোরে হঠাৎ কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি তার নজরে এসেছে। সেই সময় আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা অনুভূত হয়। তবে বিষয়টা অস্বাভাবিক বলে তিনি মনে করেন।

এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান জানান, তিনি ঘুম থেকে একটু দেরি করে উঠলেও লোকমুখে তিনি এ দিনের কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতির বিরূপ আচরণের কথা শুনেছেন।