দেশজুড়ে: নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তিন দিন আগে চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। রোববার (৫ মে) দুপুরে নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ওসিকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। তবে অফিস আদেশে ওসিকে প্রত্যাহারের কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ এপ্রিল পক্ষপাত এবং দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে ওসি রফিকুলের প্রত্যাহার চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম। জেলা পুলিশ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চরজব্বর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে তার স্থলে হাতিয়ার ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাওসার আলম ভূঁইয়াকে চরজব্বার থানার ওসির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় স্মারক মূলে ওসি রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
এ বিষয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার স্থলে ভাসান চর থানার ওসি মো. কাউসার আলম ভূঁইয়াকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামী ৮মে সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী। তিনি নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে। একই উপজেলায় সাবাব চৌধুরীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের একাধিকবারের চেয়ারম্যান এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম। তিনি লড়ছেন দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে।
