প্রচ্ছদ সারাদেশ যেই জনগণের দোহাই আপনারা দিচ্ছেন, সেই জনগণই এখন নির্বাচন চায় না: আমান...

যেই জনগণের দোহাই আপনারা দিচ্ছেন, সেই জনগণই এখন নির্বাচন চায় না: আমান আযমী

জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আজমের মেজো ছেলে সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে বলেছেন, রাজনীতিবিদ বাবার সন্তান হিসেবে ৬০ এর দশক থেকেই এদেশের রাজনীতির সাথে আমি পরিচিত। আমার প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ, অভিজ্ঞতা এবং মূল্যায়ন আস্তে আস্তে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। আজ স্বাধীনতা উত্তর এদেশের নির্বাচন নিয়ে কিছু বলতে চাই।

 

তিনি বলেন, আমি শতভাগ নিশ্চিত, ১৯৭৩ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৯১ এবং ২০০১ এর নির্বাচন ছাড়া আর একটিও পুরোপুরি সুষ্ঠু হয়নি। নমিনেশন বানিজ্য, কারচুপি, সুক্ষ্ম কারচুপি, ভোট চুরি, ভোট ডাকাতি, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি ছিল এসব নির্বাচনের বৈশিষ্ট। আর এসব অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে যারা সাংসদ হয়েছেন তাদের মধ্যে হাতে গনা কয়েকজন ছাড়া বাকি সব ছিল চোর,

 

ডাকাত, গুন্ডা, বদমায়েশ, লুটেরা, চাঁদাবাজ, চাটুকার, নীতিহীন, স্বার্থপর, অর্থলিপ্সু, পদ-পদবীলোভি, মাথা বিক্রি করা বিবেক-ব্যক্তিত্ত্বহীন দ্বিপায়া প্রাণী। জনগণের পয়সায় সংসদে বসে নির্লজ্জভাবে নেতা-নেত্রীর পা চাটা গোলাম হয়ে তোষামোদী করে ক্ষমতার স্বাদ ভোগ করেছে, আর জনগণের সর্বনাশ করেছে। আর ফ্যাদিবাদ এর অপকর্মের কথা লিখতে তো এক এনসাক্লোপিডিয়া হয়ে যাবে।

আমান আযমী আরো বলেন, এরা এদেশের জনগণের শত্রু। ১৬ বছরের ব্যর্থতার দায় নিয়ে মাফ চেয়ে রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার পরিবর্তে তারা জুলাই বিপ্লবের কৃতিত্ব ছিনতাই করে বড় বড় কথা বলছে। মানুষ কতটা নির্লজ্জ বেহায়া হতে পারে তার সেরা উদাহরণ আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা! নাকে খত দিয়ে যাদের রাজনীতি থেকে বিদায় নেয়ার কথা, তারাই আজ প্রতিদিন মঞ্চে লাফাচ্ছে। এই শঠ, প্রতারক, বেহায়ারা আমাদের অসহায় জনগণকে নিয়ে খেলা করছে।

কিসের নির্বাচন চায় তারা? বৈধ, অবৈধ উপায়ে যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারা কি করেছে দেশ ও জাতির জন্য? তামাশার সীমা থাকা দরকার।

তিনি বলেন, কোন নির্বাচন নয়, যতদিন পর্যন্ত:

১. পরিবারতন্ত্র বাদ দিয়ে দলে গণতন্ত্র না আসে।

২. দলের ভিতরে গনতন্ত্র চর্চা দৃশ্যমান না হয়।

৩. মনোনয়ন বানিজ্য না থাকে।

৪. দলে কোন রকমের তোষামোদী, চাটুকারিতা না থাকে।

৫. কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দলে না থাকে।

৬. পতিত সরকার দেশের সমস্ত সেক্টর যেভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে তা পুরোপুরি সংস্কার সম্পন্ন না হয়।

এনাফ ইয এনাফ।

এক থেকে ছয় পর্যন্ত শর্তগলো পূরণ হবার পর নির্বাচনের কথা বলবেন। এর আগে কোন নির্বাচন নয়। যেই জনগণের দোহাই আপনারা দিচ্ছেন, এই জনগণই এক্ষন নির্বাচন চায়না।

দয়া করে চুপ করুন।

সূত্র:

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।