
দেশজুড়ে: নিপাহ ভাইরাসে নয় বরং অজানা কোনো এক ভাইরাসেই শিশু মুনতাহা মারিশা ও মুফতাউল মাসিয়ার মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা থেকে পাঠানো নমুনা রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে শিশু দুটি নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, শিশু দুটি নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত হতে আমরা এক শিশুর ও তার বাবা-মায়ের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তারা কেউ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত নন।
তিনি আরও বলেন, মারা যাওয়া শিশুর বাবা-মায়ের ভাষ্য মোতাবেক বরই না ধুয়ে ওই শিশু খেয়েছিল। তবে বরই বা অন্য যে কোনো খাবারের মাধ্যমেই তারা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন এটি সত্য। তবে যেহেতু নিপাহ ভাইরাস নয়, সেহতু এটি অজানা এক ভাইরাস হতে পারে। যেটি শনাক্ত করার কোনো ব্যবস্থা হয়তো বাংলাদেশে নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক ধরনের ভাইরাস হতে পারে। যেহেতু তাদের (মারা যাওয়া শিশু) গায়ে কালো র্যাশ ছিল সেহেতু এটি ‘ম্যাঙ্গো ভাক্কাল’ ভাইরাসও হতে পারে। তবে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয় আছে। খবু সহজেই বলা যাবে না। আমরা কিছু স্যাম্পল রেখেছি। হয়তো আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠাব। ঢাকার কোথাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শিশু দুটি আসলেই কী ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেল তা বের করার চেষ্টা করব। রাজশাহী মেডিকেলে এই ধরনের কোনো রোগী আমরা এর আগে পাইনি। কেননা, আমরা মৃত শিশুর পেট থেকে যে ফুড স্যাম্পল নিয়েছি তার রং অস্বাভাবিক ছিল। এজন্য আমরা এর বিস্তারিত জানতে বিশদভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার উদ্যোগ নেব।
তিনি জানান, আমরা শিশু দুটির বাবা-মাকে আইসোলেশনে রেখেছি। এর মধ্যে শিশুর মায়ের গায়ে জ্বর রয়েছে। তবে শিশু দুটির মতো অন্য উপস্বর্গগুলো এখনো দেখা যায়নি। তবে আমরা তাদের আরও দুই-একদিন পর্যবেক্ষণে রাখব।