
‘অপহরণের সময়টুকু ভুলে থাকতে চাই। আমি আবার সবার মাঝে ফিরে এসেছি। এ যেন আমার নতুন জীবন ফিরে পাওয়া। যারা পাশে ছিলেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’ -উদ্ধারের পর এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের রুমা শাখার ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিন।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে বান্দরবানের রুমার একটি মসজিদ থেকে নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে কেএনএফের সন্ত্রাসীরা। এ সময় ব্যাংকের ভল্টে থাকা ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা লুট করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় তারা। তবে তারা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র ও ৪১৫টি গুলি লুট করে নিয়ে যায়।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে এবিষয়ে র্যাবের পক্ষ থেকে বান্দরবানের পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় উদ্ধার অভিযানের বর্ণনা দেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। পরে নেজাম উদ্দিনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব জানায়, কেএনএফের অস্ত্রধারীরা ব্যাংক ব্যবস্থাপককে নিয়ে ৪৮ ঘণ্টায় অন্তত ছয়বার স্থান বদল করেছিল। কোথাও পাহাড়ি পথে, কোনো সময় ঝিরির পথ ধরে ও মোটরসাইকেলে সশস্ত্র পাহারার মধ্যে তাকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নেয়া হয়। খেতে দেয়া হয় কলাপাতায় মোড়ানো গরম ভাত, ডাল ও ডিমভাজি। তবে তাকে মারধর করা হয়নি।
নেজামের স্ত্রী মাইছুরা গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমি এতই আনন্দিত যে বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটিকে ফিরে পেয়েছি। এর চেয়ে খুশির খবর আর কিছু হতে পারে না।’ নেজাম বলেন, ‘এ যেন নতুন জীবন ফিরে পাওয়া।’