মিল্টনের আশ্রমের বৃদ্ধ ও শিশুদের দায়িত্ব নিয়েছে আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন। সেই থেকে জনমনে প্রশ্ন- কোথা থেকে এলো এই ফাউন্ডেশন? কারা চালায় এই সংস্থা?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- শুধু মিল্টনের আশ্রম কিংবা বাংলাদেশেই নয়, এই প্রতিষ্ঠানের মানবিক কাজ রয়েছে ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ইতিমধ্যে- প্রতিষ্ঠানটি ফিলিস্তিনের গাজায় মসজিদ নির্মাণ, অসহায় গাজাবাসীকে খাদ্যদান,
তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান, সিলেটে বন্যার্তদের জন্য খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ভাসমান প্ল্যান্ট স্থাপন এবং সাতক্ষীরায় ভাসমান মসজিদ নির্মাণ ও রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর জন্য সেবামূলক নানান কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন জানান- চট্টগ্রামের চাঁদগাঁওয়ের গোলাম আলী নাজির পাড়া এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করার লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে যাত্রা শুরু হয় এই ফাউন্ডেশনের। এরপর ধীরে ধীরে দেড়যুগে দেশে-বিদেশে নানান দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এই সংস্থা। সংস্থাটির বর্তমান চেয়ারম্যানের বাবার নামেই রাখা হয় এই ফাউন্ডেশনের নাম।
ইঞ্জিনিয়ার নাসির উদ্দিনের দাবি, বাবার ব্যক্তিগত অর্থায়নে এবং আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে পাওয়া তহবিল দিয়ে শুরু হওয়া এই সংস্থা এখন অনুদান পায় দেশি বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা থেকেও। ফলে মানব সেবার কাজটি অনেকটাই ত্বরান্বিত হচ্ছে তাদের। বর্তমানে সংস্থাটি এনজিও হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদন পেয়েছে। সেই সঙ্গে জাতিসংঘের ইকোনমিক এন্ড সোশ্যাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত বলেও জানান চেয়ারম্যান।
বাবার নামে গড়ে উঠা ফাউন্ডেশনকে বিশ্বব্যাপী মানবতার সেবায় ছড়িয়ে দিতে চান ইঞ্জিনিয়ার নাসির উদ্দিন। তার এমন উদ্যোগ কল্যাণকর হোক এমনটাই প্রত্যাশা মানবসেবা প্রত্যাশীদের।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |