প্রচ্ছদ সারাদেশ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় যেসব অভিযোগ ৩ সমন্বয়ককের

হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় যেসব অভিযোগ ৩ সমন্বয়ককের

রাজধানীর একটি হাসপাতাল চিকিৎসারত অবস্থায় চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র’ তিন সমন্বয়ককে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক মো. মাহিন সরকার। শুক্রবার (২৬ জুলাই) ভোর পৌনে ৪টায় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান। ভুক্তভোগী তিন সমন্বয়ক হলেন নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার। সমন্বয়কদের কেবিনে ঢুকে কাউকে দেখা পর্যন্ত করতে দেয়া হচ্ছে না, এমনকি গণমাধ্যমের সঙ্গেও তাদের কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা জানান, চার দিনের আলটিমেটাম শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার তাদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা ছিল। অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ হাসপাতালে ভর্তি থাকায় সেখান থেকেই তারা কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছিলেন।

আসিফ মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, নাহিদ ভাই, আমি আর বাকেরকে হাসপাতালে গৃহবন্দী করেছে ডিবি পুলিশ। আমাদের দুই কেবিনের সামনে ৫ জন করে ডিবি বসিয়ে রাখা হয়েছে। কেবিনের ওয়াইফাই লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং টিএনটি ফোনও নিয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, নাহিদ ইসলাম আমার সঙ্গে দেখা করতে আসলে তাকে দেখা করতে দেয়নি। হাসপাতালের সামনে পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। চিকিৎসা নিতে এসেও বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে আমাদের। বাইরে যারা সমন্বয়ক আছেন তারা আন্দোলনের ব্যাপারে আপডেট জানাবেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে ১৯ জুলাই রাত ১১ টায় আসিফ মাহমুদকে হাতিরঝিলের, মহানগর আবাসিক এলাকা থেকে তুলে নিয়ে আন্দোলন বন্ধের জন্য নির্যাতন করা হয়। পরে ২৪ জুলাই সকাল ১১ টায় আবার একই জায়গায় চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে যায়। এরপর থেকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।