
রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে এই অগ্নিকাণ্ডের পর ভবনে আটকা পড়েন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক কামরুজ্জামান মজুমদার। সেখান থেকেই পরপর কয়েকটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন তিনি। ভবনটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়লে সেখানে আটকা পড়েন বহু মানুষ। তখন অধ্যাপক কামরুজ্জামান ফেসবুকে লিখেন, ‘আমি সপরিবারে বেইলি রোডে আগুনের মধ্যে রয়েছি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
এর কিছুক্ষণ পর তিনি আবার লিখেন, ‘আমরা এখনো মারা যাইনি। আমরা ছাদে আছি। আল্লাহ আমাদের সাহায্য করবেন ইনশাআল্লাহ। দোয়া করবেন।’ তবে পরিবার নিয়ে নিরাপদে ফিরতে পেরেছেন এই অধ্যাপক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই। উদ্ধারের পর ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আমরা সবাই নিরাপদে নেমে এসেছি।’ জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় অন্তত ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার হয়েছে। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় আরও ৪২ জনকে। একই পরিবারের পাঁচজনসহ মারা গেছেন ৪৪ জন। এর মধ্যে ঢামেক হাসপাতালে ৩০, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ এবং রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে একজন মারা গেছেন। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ৩টি মরদেহ।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান তারা। প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৯টা ৫৬ মিনিটে। পরে আগুনের ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়লে আরও ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে পুলিশ, আনসার, র্যাব। ১৩টি ইউনিটের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।